ভালবাসার রসায়ন

ভালোবাসা / ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারী ২০১৫)

Arif Billah
  • ১০
  • ৭৩
সৌরভ আর স্মৃতি নীল দিঘি পৌর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তাদের বাড়িও নীলদিঘি গ্রামে। কলেজের ফাঁকে ফাঁকে তারা নীলদিঘি পৌরপার্কে এসে সময় কাটাতো। এভাবে তাদের মাঝে মনের বুঝাপড়া তৈরী হয়ে যায় মনের অজান্তেই। সেই থেকে তারা নিয়মিত এখানে এসে ভালবাসার সোনালী ভবিষ্যতের ¯^প্ন রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়তো।
আজ ১৪ ফেব্রæয়ারী। বিশ্ব ভালবাসা দিবস। মনের মাধুরী মিশিয়ে একে অন্যকে আপন করে পাবার নতুন অনুভ‚তি জাগরিত করার দিবস। আজকের এই দিনে সৌরভ স্মৃতিকে নিয়ে ভালবাসার গহিন অরণ্যে হারিয়ে যেতে চায়। তাই একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ফুল নিয়ে সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছে সৌরভ। একে বারে নীল দিঘির উত্তর পাড়ে। যেটি মুলত পৌরসভার একমাত্র সরকারি পার্ক হিসেবে পরিচিত। পার্কটি পূর্বে অবহেলিত ও পরিত্যক্ত হলেও বর্তমানে পার্কটিতে পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বসার স্থান। নানান রঙ্গের বাহারী সব ফুল গাছ। বর্তমানে এ নীল দিঘি পৌর পার্কটি উপজেলার একটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ বিনোদন কেন্দ্রে আজ ১৪ ফেব্রæয়ারী সৌরভ আর তার ভালবাসার সাথী স্মৃতির সাথে সময় কাটানোর কথা। কথা অনুযায়ী একে অপরকে নতুন ফাল্গুনে নতুন ফুল দিয়ে নিজেদের ভালবাসা বিনিময় করবে। কিন্তু স্মৃতি আসছে না। সৌরভের কাছে এক একটি মুহুর্ত এক এক যুগের মত মনে হচ্ছে। সৌরভ প্রবাদে পড়েছে, অপেক্ষা মৃত্যু চেয়ে কঠিন। আজ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সে।
সৌরভ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছে না। প্রতি বছর এই নীল দিঘি পৌর পার্কেই দেখা হয় স্মৃতির সাথে। নীল পাড়ের অপরূপ শাড়ী পড়ে বিশেষ সাজে সেজে উপস্থিত হয় স্মৃতি। নতুন বছরের ভালবাসার নতুন ¯^প্নের বীজ নতুন ভাবে যেন ধরা দেয় তাদের কাছে। ১৪ ফেব্রæয়ারীর উপস্থিতিতে কোনদিনই সময়ের কোন হেরফের হতো না। আজ কেন এমন হচ্ছে তার কোন হিসেব মেলাতে পারছে না সৌরভ।
আপন মনেই বলে যাচ্ছে সৌরভ। তাহলে কি আমার কোন হঠকারিতা স্মৃতির দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। নিজের দুর্বলতা আজ নিজেকেই জেঁকে বসেছে। সৌরভ ভাবে সে তো কোন দিন স্মৃতির সাথে কোন হঠকারি আচরণ করে নি। তাহলে স্মৃতি কেন তাকে ভুল বুঝবে। আশা নিরাশার দোলাচালে দুলতে দুলতে সময় কাটাতে থাকে সৌরভ। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়। মনের সৌরভ ঝিমিয়ে পড়ার সাথে সাথে যেন রজনীগন্ধার সতেজতাও আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। গত এক মাসের স্মৃতির আচরণ আপন মনে বিশ্লেষণ করছে সৌরভ। ইদানিং স্মৃতি সৌরভের সাথে মেপে মেপে কথা বলে। তবে তাতে কোন কৃত্তিমতা লক্ষ্য করা যায় নি। তাই সৌরভ স্মৃতিকে কোন প্রকার সন্দেহ করে নি। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সৌরভের পাশে স্মৃতি থাকবে না এ যেন সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তাছাড়া আজ সকাল থেকেই স্মৃতির মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে। যা কি-না গত পাঁচ বছরের মধ্যে একবারের জন্যও বন্ধ হয় নি।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে আসছে। নীল দিঘির উত্তর পাড়ের ছায়া ঘেরা বেঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ভ্যালেন্টাইন বিনোদনে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সৌরভ সবুজ গাছ-গাছালীর ফাঁকে ফাঁকে আপন মনে হেঁটে চলছে আর আধুনিক ভালবাসাসীদের উম্মুত্ততা ¯^চক্ষে দেখে যাচ্ছে। এই প্রথম সে একাকী হাঁটার কারণে অন্য ছেলে-মেয়েদের সমাজ সভ্যতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভালবাসার মেকী অভিনয়ের বাস্তব চিত্র অনুভব করছে। ছেলে-মেয়েদের মেকী অভিনয়ের চিত্রে সৌরভ নিজেকে বড় অপরাধী মনে করছে। মিথ্যে আবেগকে কাজে লাগিয়ে কত মূল্যবান সময়ই সে নষ্ট করেছে। কত অন্যায়ের বীজই না সে বপন করেছে এই পৌরপার্কের সবুজ গাছের নিচে। আপন মনে ভাবছে আর বলছে কত ছেলে মেয়ে মিথ্যে মরিচীকার পিছনে ছুটে কত বাবা মায়ের সোনালী ¯^প্ন ধ্বংস করছে। নিজ¯^ কৃষ্টি কালচার ভুলে ভীন দেশী কৃষ্টি কালচারে গা ভাসিয়ে চরিত্র ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছে কত মেধাবী যৌবন। আজকের এই দিনে স্মৃতি না এসে যেন সৌরভের মনের দরজা খুলে দিয়েছে।
নীল দিঘি সরকারি পৌর পার্কের বেহায়পনা নিজের চোখে দেখার পর সে সিদ্ধান্ত নেয় এখানে আর এক মুহুর্তও থাকবে না। ইদানিং স্মৃতি তার কাছে পরিশিলিত মানের এক মেয়ে হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছে। মাঝে মাঝেই স্মৃতি সৌরভকে নীতি কথার পসরা সাজিয়ে চিঠি লিখতো। সেগুলো সেকেলে কথা মনে করে সৌরভ পড়ত না। তবে চিঠিগুলো প্রেয়সীর হাতের লেখা মনে করে অতি যতœ করে রেখে দিত সৌরভ । সৌরভের আজ মনে পড়ে সে সব চিঠির কথা। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় সোজা বাড়ি গিয়ে স্মৃতির নীতি কথার চিঠিগুলো পড়ে দেখবে; ইদানিং স্মৃতি সৌরভকে কি বুঝাতে চেয়েছে।
একটি চিঠি খুলে সৌরভ দেখে স্মৃতি তাতে লিখেছে। প্রিয় সৌরভ। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তোমাকে কেবল এই দুনিয়াতেই ভালবাসতে চাইনা। পরকালের অনন্ত জীবনেও আমি তোমাকে চাই। নিশ্চয়ই তুমিও আমার সাথে এক মত হবে। তাই আজ আমি তোমাকে মহাবিশ্বের ভালবাসার এক চরম সত্যের পরিণতির কথা শুনাবো।
মহাবিশ্ব কবে সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল মহান শ্রষ্টায়ই ভাল জানেন। বিজ্ঞানীরা নানা তত্ত¡ উপাত্ত¡ বিশ্লেষণ করে মহাবিশ্বের বয়সের একটা আনুমানিক সময় নির্ধারণ করেছেন। মহাবিশ্বের বয়স যাই হোক না কেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না। যিনি মহাবিশ্ব তৈরী করেছেন আমাদের উচিত তার বিধান অনুসারে আমাদের জীবন পরিচালনা করা। আমার মতামতের বিষয় এখানে ভিন্ন। মহাবিশ্ব নিয়ে দু’টি লাইন বলার একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে মহাবিশ্বের সব কিছুর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের আকর্ষণ। যার ফলে মহাশুন্যের নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, ধুমকেতু, নীহারিকা সব কিছুই কেউ কারো কক্ষ পথ পরিবর্তন করে না। এই আকর্ষনের উপস্থাপনা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের। ভিন্ন স্থানে ভিন্ন নামে এই আকর্ষণ বস্তু, প্রাণী বা মানুষের দৃষ্টিতে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপিত হয়। কিন্তু মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কণার সাথে একে অপরের আকর্ষণকে বিজ্ঞানীরা মধ্যাকর্ষণ, অভিকর্ষ বা অন্য কোন নামে অভিহিত করলেও প্রকৃতপক্ষে ইহাই মহব্বত বা ভালবাসার প্রতিচ্ছবি।
ভালবাসা মানুষের কাছে নানা ধরনের অনুভুতি দান করে। পিতা-মাতা তার সন্তানকে ভালবাসে। সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভালবাসে। ¯^ামী তার স্ত্রীকে ভালবাসে। স্ত্রী তার ¯^ামীকে ভালবাসে। পিতা তার কন্যাকে ভালবাসে। ভাই তার বোনকে ভাল বাসে। মাতা তার কন্যাকে ভালবাসে। কন্যা তার মাতাকে ভালবাসে। বোন তার ভাইকে ভালবাসে। ভাই তার ভাইকে ভালবাসে। ভালবাসার এই পুঁজি কোন ব্যক্তির অর্জিত সম্পদ নয়। কোন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত বিষয় দিয়ে কেউ কাউকে ভালবাসতে পারে না। ভালবাসা মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। ভালবাসা আছে বলেই মহাবিশ্ব টিকে আছে। যখন এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহ তার আকর্ষণ উঠিয়ে নিবে অথ্যাৎ আল্লাহ উঠিয়ে দিবেন তখন মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুরাজী দিক বিদিক ছুটাছুটি করে ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ বস্তুরাজী থেকে ভালবাসা উঠে যাবে। ঐ মহুর্তকে কিয়ামত বা মহাপ্রলয় বলা হয়।
প্রিয় সৌরভ ! আমি তোমাকে মহাপ্রলয়ের পরও ভালবাসতে চাই। ভালবাসা অতি পবিত্র। আমি পবিত্র ভালবাসাকে অপবিত্র করতে চাই। তাই আমি বলবো আমি একটি আদর্শ মেয়ে হতে চাই। তুমিও একটি আদর্শ ছেলে হও। পারিবারিকভাবে অটুট হোক আমাদের ভালবাসার বন্ধন। যাতে আমি অনন্তকাল তোমাকে ভালবাসতে পারি। অনন্তকাল ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে ঢেকে রাখতে পারি দুজনের হৃদয়কে। আজ এখানেই। তোমার ভালবাসার অনন্তকালের সাথী প্রত্যাশী স্মৃতি।
চিঠি পড়া শেষ হলে সৌরভ অনুভব করতে থাকে তার দু’চোখ বেয়ে খুশির অশ্রæ বেয়ে পড়ছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে সৌরভ স্মৃতিকে অভিনন্দন জানায়। সৌরভ মনে মনে শপথ নেয়, স্মৃতি আমি তোমাকে অনন্তকাল আগলে রাখার পথেই এগোবো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সহিদুল হক ভালো লাগা ও শুভ কামনা জানাই
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
সবুজ আহমেদ কক্স nice lekha @@@arif billah
ভালো লাগেনি ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ভাল লিখেছেন। সে দেশে ছেলে বাবা-মাকে, ভাই-বোন ভাই-ভাইবোনকে, এমন কি স্বামী স্ত্রীকে ভালবাসার সময় করে উঠতে পারেনা সে সব দেশে ভাল বাসার জন্য একটা দিবসের প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের দেশে তিনশ পঁয়ষ্টি দিন যা পাওয়া যায় তার জন্য এর প্রয়োজন নেই। বেলেল্লাপ্নার জন্য তো নয়ই। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মোঃ আক্তারুজ্জামান গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসানোর উদ্দীপনাকে সমুন্নত রাখার প্রয়াস- অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) বে চমৎকার সাহসী গল্প ।পড়ে শিহরিত হলাম
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
শামীম খান দারুণ সাহসী লেখা । যারা জীবনের মানে খুঁজতে চায় তাদের জন্য একটি সুন্দর গল্প । একদিনের জন্য কেন , ভালোবাসা গড়ে উঠুক অনন্ত কালের প্রতিশ্রুতি নিয়ে , বিকশিত হোক আল্লাহর প্রতি আনুগত্য নিয়ে । সুন্দর লেখার জন্য অভিনন্দন আর ভোট রেখে গেলাম ।
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Shamim Vai apnake Onek Thanks .
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
রবিউল ই রুবেন চমৎকার গল্প ভালো লাগল। ভোট করলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Many Many Thanks.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ উজানে সাঁতরানোর ব্যাপারে আপনার এই উজ্জীবনী গল্পটা সবার কাছে যদি শিক্ষনীয় হ‘তো আমি খুব খুশি হতাম । চমৎকার প্রয়াস, খুব ভাল লাগল ।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
I so proud for ur comment.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ruma hamid সুন্দর লিখেছেন । শ্রদ্ধা জানবেন । আমার শুভকামনা রেখে যাচ্ছি দাদা ।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Thanks a lot.
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মোজাম্মেল কবির গল্পে একটি বক্তব্য সুস্পষ্ট তুলে ধরেছেন... শুভ কামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
Thanks for ur comment.
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

২৪ আগষ্ট - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী